একাদশী উপবাস
মানব শরীর মূলত খাদ্য,জল, প্রাণশক্তি এবং মহাকাশ থেকে শক্তি অর্জন করে । অজ্ঞানতাবশত যেহেতু আমরা মনে করি যে একমাত্র খাদ্য এবং জলই শক্তির মূল উৎস, সেই কারণেই আমরা মহাকাশ থেকে সূক্ষ্ম আধ্যাত্মিক শক্তি অর্জন করতে অসমর্থ থাকি।
বিশেষ দিনগুলিতে উপবাস থাকলে পবিত্র দিব্যশক্তি গ্রহণ করতে আমাদের সাহায্য করে। আবার একথাও সত্য যে যখন আমাদের পেট খালি থাকে তখন প্রাণায়াম এবং ধ্যানের মতো আধ্যাত্মিক অনুশীলনগুলি খুবই সুফলদায়ী হয়।
একাদশী হল পূর্ণিমা এবং অমাবস্যার পরে এগারোতম দিন আর সেই জন্যই প্রত্যেক মাসে দুটি করে একাদশী থাকে। একাদশী দিনটিকে সবচেয়ে পুণ্যতম দিন হিসেবে বিবেচনা করা হয় এবং উপবাসের জন্যও দিনটি খুবই উপযুক্ত।
মানব শরীর মূলত খাদ্য,জল, প্রাণশক্তি এবং মহাকাশ থেকে শক্তি অর্জন করে । অজ্ঞানতাবশত যেহেতু আমরা মনে করি যে একমাত্র খাদ্য এবং জলই শক্তির মূল উৎস, সেই কারণেই আমরা মহাকাশ থেকে সূক্ষ্ম আধ্যাত্মিক শক্তি অর্জন করতে অসমর্থ থাকি। বিশেষ দিনগুলিতে উপবাস থাকলে পবিত্র দিব্যশক্তি গ্রহণ করতে আমাদের সাহায্য করে। আবার একথাও সত্য যে যখন আমাদের পেট খালি থাকে তখন প্রাণায়াম এবং ধ্যানের মতো আধ্যাত্মিক অনুশীলনগুলি খুবই সুফলদায়ী হয়।
উদ্দেশ্য
শরীরকে নির্বিষকরণে (detoxification), মনকে পরিশুদ্ধ করতে এবং শরীরের কোষগুলিকে শক্তি যোগাতে।
পদ্ধতি
আট থেকে আশি বছরের মধ্যে যে কোনো কেউ এই উপবাস করতে পারে। যে কোনো ধরনের ডাল, শস্য, আমিষ ও দূষিত খাদ্য বর্জন করতে হবে। কাঁচা ফল ও শাকসবজি খাওয়া যেতে পারে। ক্রমশই একজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ উপবাস করতে সক্ষম হতে পারে, সম্পূর্ণ উপবাস বলতে বোঝানো হয়েছে জলও গ্রহণ না করা। নিজস্ব ইচ্ছা শক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে এবং নিজেকে কোনো প্রকার চাপের সম্মুখীন না করেও একজন উপবাস করতে চেষ্টা করতে পারে। যদিও সতর্কীকরণ হিসেবে বলা হয়েছে যে, অসুস্থ ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের উপবাস বর্জন করাই উচিত।
নির্দেশিকা
কেউ যদি উপবাসের সঙ্গে মৌন ব্রত পালন করে তাহলে তা আরো সুফল-প্রদায়ী।
উপবাস চলাকালীন আমরা ‘ওঁ ধ্যান’ ( Aum Meditation) অনুশীলন করতে পারি। এর সাহায্যে শরীর ও মনের শক্তির ভারসাম্য বজায় রাখতে পারি। সমগ্র দিনটিতেই ঈশ্বরের সঙ্গে যোগাযোগ রাখতেও এই পদ্ধতি সাহায্য করে।
আট থেকে আশি বছরের মধ্যে যে কোনো কেউ এই উপবাস করতে পারে। যে কোনো ধরনের ডাল, শস্য, আমিষ ও দূষিত খাদ্য বর্জন করতে হবে। কাঁচা ফল ও শাকসবজি খাওয়া যেতে পারে। ক্রমশই একজন ব্যক্তি সম্পূর্ণ উপবাস করতে সক্ষম হতে পারে, সম্পূর্ণ উপবাস বলতে বোঝানো হয়েছে জলও গ্রহণ না করা। নিজস্ব ইচ্ছা শক্তির উপর নির্ভরশীল হয়ে এবং নিজেকে কোনো প্রকার চাপের সম্মুখীন না করেও একজন উপবাস করতে চেষ্টা করতে পারে। যদিও সতর্কীকরণ হিসেবে বলা হয়েছে যে, অসুস্থ ব্যক্তি ও অন্তঃসত্ত্বা মহিলাদের উপবাস বর্জন করাই উচিত।
উপকারিতা
একাদশী উপবাস নিয়মিত অনুশীলন করলে শারীরিক, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক ভাবে, অনেক উপকার আমরা পাই।
শরীরকে সামগ্রিকভাবে মেরামত করতে এবং সঞ্জীবিত করে তুলতে।
শরীরে অবস্থিত সকল বর্জ্য ও বিষাক্ত পদার্থকে শরীর থেকে বের করে দিতে।
আমাদের শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে আরো মজবুত করে তুলতে।
রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখতে।
মনকে সম্পূর্ণভাবে হালকা করে তুলতে এবং পরিমার্জন করতে।
চিন্তাস্তর থেকে সমস্ত রকম আবর্জনা সরিয়ে দিতে।
ঘুমের ব্যাধি ঠিক করতে।
আমাদের ইচ্ছাশক্তি এবং আভ্যন্তরীণ শক্তিকে বাড়িয়ে তুলতে।
আমাদের কাম এবং ক্রোধকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে।
আমাদের সাধনাকে ত্বরান্বিত করার মাধ্যমে দ্রুত আত্ম-সাক্ষাৎকার অর্জন করতে।
আমাদের অনুসরণ করুন
সমস্ত কোটেশন দেখতে ...