প্রত্যেক নিষ্ঠাবান অধ্যাত্ম সন্ধানী ব্যক্তিরই একটি আধ্যাত্মিক-পঞ্জিকা অনুসরণ করা উচিত। পঞ্জিকা (Spiritual Calendar) অনুসরণ করলে একজন সাধক আগের থেকে নিজেকে প্রস্তুত করতে সুযোগ পান, বিশেষ বিশেষ দিনে কেমন ভাবে তিনি ধ্যানসাধনা করবেন, তার একটি পূর্ব পরিকল্পনা নিজের মতন করে গড়ে নিতে পারেন।
ধ্যান করার ক্ষমতা সবারই আছে। কিন্তু এর জন্য নিজেকে স্বতঃপ্রণোদিত করা প্রয়োজন। নিজস্ব প্রেরণা এমন একটি শক্তি যা আমাদের কর্ম সম্পাদন করতে, জয় করতে, অভিজ্ঞতা অর্জন করতে এবং সর্বোপরি আত্মোপলব্ধি করতে তৎপর করে তোলে।
— দেবাত্মানন্দ শামবালা
নিজের আধ্যাত্মিক উন্নতিকেই আপনি সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব প্রদান করুন।
— দেবাত্মানন্দ শামবালা
বিশেষ উপলক্ষ্যে ধ্যান করার বিশেষ ধরণের উপযোগিতা এবং কার্যকারিতা রয়েছে। বিশেষ উপলক্ষ্যে, বিশেষ দিনে ধ্যানসাধনার মাধ্যমে আমরা প্রচুর পরিমাণে দিব্যশক্তি অর্জন করতে পারি, যা খুব সহজেই আমাদের ধ্যানমগ্ন অবস্থায় পৌঁছে দেয় এবং সিংহভাগ কর্মফল দহনে সাহায্য করে।
এই বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ দিনগুলিতে যদি আমরা সঠিকভাবে নিজেদের ঈশ্বরের সঙ্গে সংযুক্ত করতে পারি এবং নিষ্ঠার সঙ্গে ধ্যানসাধনা করতে পারি, তবে অল্প পরিশ্রমেই আমরা অনেকখানি অগ্রগতি লাভ করবো। গুরু, ঋষিগণ এবং সিদ্ধাগণের কাছ থেকে আমরা প্রভূত পরিমাণে সাহায্যপ্রাপ্ত হব। তাঁদের আশীর্বাদ এবং বিশেষ দিব্যশক্তিতে আমরা বহু বাধা-বিপত্তি খুব সহজেই পার হয়ে যেতে পারবো। এর মাধ্যমে আমরা আমাদের আধ্যাত্মিক রূপান্তরের লক্ষ্যে পৌঁছোতে সক্ষম হব এবং আত্ম-সাক্ষাৎকার (Self Realisation) লাভ করতে পারব।
দৃষ্টান্তস্বরূপ বলা যায় রথসপ্তমী, মহা শিবরাত্রি, অক্ষয় তৃতীয়া, গুরু পূর্ণিমা, ঋষিপঞ্চমী, নবরাত্রি, মহাঋষিগণের জয়ন্তী, গ্রহণকাল, সম্পূর্ণ আষাঢ় মাস এবং শূন্য মাস- আধ্যাত্মিক সাধনার জন্য অত্যন্ত শক্তিশালী।
আমাদের অনুসরণ করুন
সমস্ত কোটেশন দেখতে ...