প্রভু শ্রীকল্কিদেব
পুরাণমতে, এই পৃথিবীর সমস্ত গ্লানি ভার নিঃশেষে মুছে নিতে এবং সনাতন ধর্মের প্রতিষ্ঠা করতে , শ্রীবিষ্ণুর দশম অবতার প্রভু শ্রী কল্কিদেব কলিযুগের শেষপর্বে জন্মগ্রহণ করবেন। যদিও এই ধরাধামে তিনি ইতিমধ্যেই অবতীর্ণ হয়েছেন!
প্রভু শ্রীকল্কিদেব ১৯২৪ সালে রহস্যাবৃত শামবালা বা আর্যবর্ত্য উপত্যকায় জন্মগ্রহণ করেন। তিনি এখন বিংশবর্ষীয়, যদিও আমাদের সময়ের থেকে তাঁর বয়সের সময়ের গণনা পৃথক। মহাযোগী ও মহাত্মাগণ তাঁকে বহুবিধ শাস্ত্রে পারঙ্গম করে তুলেছেন; যেমন দিব্য-যন্ত্র (Divine Gadgets) সম্পর্কে তিনি শিক্ষালাভ করেছেন প্রভু শ্রী পরশুরাম এবং মহাঋষি অশ্বত্থামার কাছে, চৌষট্টি সিদ্ধি লাভ করেছেন প্রভু আঞ্জনেয়র কাছে, বৈদিক শাস্ত্র ও মূল্যবোধের উপর জ্ঞান অর্জন করেছেন ব্রহ্মর্ষি বশিষ্ঠ মহাঋষির কাছে, বিশ্বামিত্র মহাঋষির কাছে দিব্যাস্ত্র (Divine Weapons) চালনায় এবং বহুবিধ মহাজাগতিক শক্তিপুঞ্জের ব্যবহারে এবং মার্কণ্ডেয় মহাঋষির কাছে বিচিত্র মানববিশ্বের বিভিন্ন দিক সম্পর্কে প্রশিক্ষিত হয়েছেন। বর্তমানে তিনি শামবালা জগতের অন্যতম প্রধান "মৈত্রেয়" রূপে কর্মসম্পাদন করে চলেছেন। তাঁর শ্বেতশুভ্র অশ্ব তড়িৎগতিসম্পন্ন, দুইটি ডানা ও একটি শৃঙ্গযুক্ত । ক্ষেত্রবিশেষেই কেবলমাত্র তিনি তাঁর নিজস্ব শকট (Vehicle) ব্যবহার করেন। হাতে একটি তীক্ষ্ণআলোক সম্বলিত স্তম্ভ ধারণ করেন, যা দেবাদিদেব মহাদেব তাঁকে উপহারস্বরূপ প্রদান করেছেন। এই স্তম্ভটির শীর্ষে একটা রক্তবর্ণ রুবি শোভা পায়। এই অস্ত্রটির সাহায্যে তিনি যাবতীয় আসুরিক শক্তিকে ধ্বংস করেন।
প্রভু শ্রীকল্কিদেব একটি আদর্শ নির্মাণ করেছেন, যার নাম 'কল্কিতত্ত্ব'। বহু ঋষি এবং দিব্যব্যক্তিত্ব (মনুষ্যদেহে) তাঁর তত্ত্বাবধানে নীরবে এই প্রকল্পে কর্মসম্পাদন করে চলেছেন। বিভিন্ন ধর্মের আধ্যাত্মিক নেতৃত্ববৃন্দ এইমুহুর্তে তাঁর এই কর্মযজ্ঞে সামিল। তাঁরই তত্ত্বাবধানে, পৃথিবীতে ন্যায়পরায়ণতার এক চিরশাশ্বত ধর্মপথ প্রতিষ্ঠিত হবে। যারা অনৈতিকভাবে রাজকীয় সম্ভোগের মধ্য লিপ্ত এবং ক্ষমতার অপব্যবহারে দুষ্কৃতকারী হয়ে উঠেছে, তারা অচিরেই সবংশে লোপ পাবে।
শ্রীকল্কিদেবের কর্মপ্রণালী
শ্রীকল্কিদেবের একটি বিপুল সংখ্যক অমিতপরাক্রমী আলোকযোদ্ধা সম্বলিত বাহিনী রয়েছে। স্বয়ং প্রভু পরশুরাম সেই বাহিনীর সর্বময় সেনাপতি। শ্রীকল্কিদেবের ভাই মহা-অবতার, এক প্রবল পরাক্রমী শক্তি হিসেবে তাঁকে সহায়তা করেন। শামবালা জগতের অন্য দুইজন "মৈত্রেয়", তাঁরাও প্রভুর উদ্দেশ্য সাধনে সম্পূর্ণ সহযোগী। এই পৃথিবীর বুকে কোনো গুরুত্বপূর্ণ কর্ম সম্পাদনের পূর্বে প্রভু শ্রীকল্কিদেব সপ্তঋষিগণ এবং অন্যান্য প্রধান সহায়কশক্তির সঙ্গে পর্যালোচনা করে থাকেন।
প্রভু শ্রীকল্কিদেবের তত্ত্বাবধানে কার্যভার এগিয়ে নিয়ে যাওয়া সহজ কথা নয়। তাঁর অনন্য শক্তিসম্পন্ন বাহিনীর অংশভাগী হওয়াও নেহাত সহজ বিষয় নয়। যিনি প্রভুর এই বাহিনীর একজন হয়ে কাজ করবেন, তাঁকে ন্যায়ধর্মের পথ অবলম্বনে নিরন্তর কর্মকরতে হবে। প্রভু তাঁর আলোক অস্ত্রের ব্যবহারে বহুবার বহু অহিতকারী শক্তির বিনাশ করেছেন। এইবার তিনি ক্ষুদ্রাকারে হলেও তাঁর যুগান্তকারী কর্মধারার সূচনা করেছেন এই পৃথিবীর বুকে।
কল্কিতত্ত্ব
প্রভু শ্রীকল্কিদেব একটি আদর্শ নির্মাণ করেছেন, যার নাম 'কল্কিতত্ত্ব'। বহু ঋষি এবং দিব্যব্যক্তিত্ব (মনুষ্যদেহে) তাঁর তত্ত্বাবধানে নীরবে এই প্রকল্পে কর্মসম্পাদন করে চলেছেন। বিভিন্ন ধর্মের আধ্যাত্মিক নেতৃত্ববৃন্দ এইমুহুর্তে তাঁর এই কর্মযজ্ঞে সামিল। তাঁরই তত্ত্বাবধানে, পৃথিবীতে ন্যায়পরায়ণতার এক চিরশাশ্বত ধর্মপথ প্রতিষ্ঠিত হবে। যারা অনৈতিকভাবে রাজকীয় সম্ভোগের মধ্য লিপ্ত এবং ক্ষমতার অপব্যবহারে দুষ্কৃতকারী হয়ে উঠেছে, তারা অচিরেই সবংশে লোপ পাবে।
প্রভু শ্রীকল্কিদেবের সহায়ক শক্তি বিভিন্ন দেশে ও মহাদেশে সক্রিয় ও সঠিক মানুষকে শক্তিকেন্দ্রে নিয়ে আসার, শ্রীসম্পদে প্রতিষ্ঠিত করে ধর্মপরায়ণতার পথে তাকে দীক্ষিত করে তোলার কাজে নিয়োজিত আছেন। মার্কণ্ডেয় মহাঋষি এবং বিশ্বামিত্র মহাঋষি ইউরোপীয় মহাদেশে; শামবালা থেকে প্রভু মৈত্রেয়, প্রভু পরশুরাম ও মহাঋষি অশ্বত্থামা মধ্যপ্রাচ্যে ও আফ্রিকা মহাদেশে; ব্রহ্মর্ষি বশিষ্ঠ মহাঋষি, মহা-অবতার, প্রভু শ্রীআঞ্জনেয় এবং শ্রীকল্কিদেব স্বয়ং এশিয়া ও আমেরিকা মহাদেশে সক্রিয় রয়েছেন।
সমস্ত জরাজীর্ণ প্রাচীন কর্মপদ্ধতির আমূল পরিবর্তন করে, নতুন কর্মপ্রণালীর উদ্বোধনের মাধ্যমে এক রূপান্তরিত জগত নির্মানের লক্ষ্য নিয়ে এই মহাদিব্যশক্তিপুঞ্জ নিরবচ্ছিন্ন অবিচলগতিতে তাঁদের কার্য করে চলেছেন। সমগ্র বিশ্ব জুড়ে ক্রমান্বয়ে অর্থনৈতিক রূপান্তর ঘটে চলেছে এই মুহূর্তে , বিশেষত শিক্ষা ও রাজনীতির ক্ষেত্রে। অতিশীঘ্রই প্রচলিত ঔষধপ্রস্তুতকারী ফার্মাসিউটিকাল পদ্ধতি ধ্বংসের মুখে পতিত হবে এবং রোগনিরাময়ের একটি নতুন বিকল্প চিকিৎসাপ্রণালী সূচিত হবে।
শ্রীকল্কিদেব প্রদত্ত মূল শিক্ষাসমূহ
সর্বদা সত্যাশ্রয়ী ও সজাগ হও। নিজেকে ভালোবাসো।
নিজের প্রতিটি কাজ, ভাবনা এবং ভাবাবেগ যেন ইতিবাচক হয়, যেন সর্বদা তোমার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী শক্তি তরঙ্গের অনাবিল স্রোত প্রবাহিত হতে পারে। যদি তুমি সচেতন হয়ে সজাগ ভাবে ইতিবাচকতার অভ্যাস করো, তবে তা এক গভীর প্রভাব সৃষ্টি করবে।
নিজের ভিতর থেকে সমস্ত নেতিবাচক দিকগুলিকে নির্মূল করো, যেমন- অহমিকা, ভয়, ক্রোধ, ঈর্ষা, মোহ, লোভ, লালসা, কামাসক্তি এবং চাহিদা। এগুলিকে আঁকড়ে ধরে থাকলে, এগুলি একদিন তোমায় ধ্বংস করবেই।
নিজের মধ্যে বৈরাগ্য এবং বিনয়ের বীজ রোপণ করো। সত্যাশ্রয়, প্রেম, কৃতজ্ঞতাজ্ঞাপন, ধৈর্য্য ও অধ্যাবসায়ের সাধন করো। প্রেমাশিসপূর্ণ হও (Be Blissful)।
ক্ষমা করো এবং গ্রহণ করো। যা তুমি ছিলে বা নিজেকে ভাবো, তা পরিত্যাগ করে তুমি নিজে প্রকৃতপক্ষে যা , তা-ই হও।
তোমার জীবনের লক্ষ্য হোক আত্ম-সাক্ষাৎকার বা আত্মজ্ঞান লাভ করা (Atma-Sakshatkaram)।
আমাদের অনুসরণ করুন
সমস্ত কোটেশন দেখতে ...