আলো
◘আলো সৃষ্টির উৎস। জ্যোতির্লোকই(Plane of Light) হল পরব্রহ্ম লোক।
◘আলো থেকেই লক্ষ কোটি নক্ষত্রপুঞ্জ তৈরি হয়েছে, বিভিন্ন ভূলোক এবং বহুবিধ জীবন বিবর্তিত হয়েছে।
◘নিঃশর্ত ভালবাসা, দয়া, শান্তি, আনন্দ, সর্বোচ্চ বুদ্ধিমত্তা, পবিত্রতা, ক্ষমতা, জীবনীশক্তি এবং আরো অনেক ইতিবাচক দিক আলোই বহন করে আনে ।
◘আলো সর্বশক্তিমান, সর্বব্যাপী এবং সর্বদর্শী।
◘আলোক অপরিবর্তনীয় ও সময়াতীত একটি বাস্তবতা।
◘আত্মা রূপে অবতরণের পূর্বে আমরা আলো রূপেই বিদ্যমান ছিলাম। সুতরাং আলো হল আমাদের মূল উৎস।
◘এই বাহ্যিক জগতে আলো দেখা যায় না কারণ আলোর একটি সূক্ষ্ণ তরঙ্গ আছে। যদিও আলোকে অনুভব করা যায় এবং গভীর ধ্যানে আলোক দেখাও যায়।
◘আলো নিরাময় করে।
◘আলোই ঈশ্বর।
আত্মা
◘আত্মা ঈশ্বরের অবিনাশী অংশ।
◘আত্মা, আলোর কণা বা আলোকরশ্মি যা পরম জ্যোতির্ময়লোক থেকে অবতরণ করে। তাই আলোকময় সত্তার প্রতিটি গুণ আত্মাতেও থাকে, যেমন প্রেম, শান্তি, শুদ্ধতা ইত্যাদি।
◘আত্মার উদ্দেশ্য হল সমগ্র সৃষ্টির অভিজ্ঞতা লাভ করা।
◘আমাদের বক্ষের ঠিক মধ্যস্থলে, আনন্দময় অংশের দ্বারা পরিবৃত হয়ে, আত্মা অবস্থান করে।
◘এই সৃষ্টিকে প্রত্যক্ষ করার জন্য আত্মার একটি দেহের মাধ্যম প্রয়োজন হয়। সুতরাং দেহ হলো আত্মার বাহক।
◘আত্মা মৃত্যুজয়ী এবং দেহ বিনষ্টির পরেও তা থেকে যায়।
◘আত্মার যাত্রা সমাপ্ত হয় তখনই, যখন সে তার উৎসে অর্থাৎ জ্যোতির্ময়লোকে প্রত্যাবর্তন করে।
◘চৈতন্যই (Conscience) আত্মার কণ্ঠস্বর।
◘আমরাই আত্মা।
গুরু
◘গুরু একজন আত্মসাক্ষাৎকার প্রাপ্ত সিদ্ধ ব্যক্তিত্ব এবং পথপ্রদর্শক, যিনি আমাদের জীবনযাত্রাকে পুনরায় আলোক উৎসে ফিরিয়ে নিয়ে যান।
◘ গুরু সর্ব সত্যের আধার এবং সর্ব অন্ধকারের অপসারণকারী।
◘গুরু আমাদের ধর্ম শিক্ষা দেন এবং ধর্মের পথে চলতেও শেখান।
◘গুরু আমাদের দীক্ষা দেন এবং সাধনায় এগিয়ে যেতে সাহায্য করেন, যতক্ষণ না আমরা নিজেরাই নিখুঁত ও স্বাধীন হয়ে উঠি।
◘একজন গুরু উদাহরণের মাধ্যমেই শিক্ষাদান করেন এবং কোন বিষয়ই জোর করে কারোর উপর চাপিয়ে দেন না।
◘গুরু জীবনের চালিকাশক্তি ও অনুপ্রেরণা এবং যাবতীয় মানসিক সামর্থের ধ্রুব উৎস।
◘গুরু হলেন আলোর এমন একটি দুয়ার পথ যাকে সহজে পাওয়া যায় ।
◘যখন একজন আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানকারী ব্যক্তি আধ্যাত্মিক জীবনে প্রবেশের জন্য ও দীক্ষা নেওয়ার জন্য প্রস্তুত হয়, ঠিক তখনই তার জীবনে গুরুর আবির্ভাব হয় ।
◘গুরুই আলোক স্বরূপ।
আমাদের অনুসরণ করুন
সমস্ত কোটেশন দেখতে ...