ধ্যান
◘আমাদের মনকে বিশ্রাম দেওয়ার একটি পদ্ধতি হল ধ্যান। এটি প্রকৃতপক্ষে একটি বিজ্ঞান। ধ্যান আমাদের শরীর, মন এবং বৌদ্ধিক স্তরকে নীরব করে তোলে এবং আমাদের নিজেদের সত্তা অর্থাৎ আত্মার অন্তঃস্থ আলোককে পুনরায় জাগিয়ে তোলে।
◘ধ্যানের মাধ্যমে আমরা যে কোনো রূপ বা আকৃতির ঊর্ধ্বে যেতে পারি।
◘ধ্যান আমাদের সকল প্রকার বাধা-বিঘ্নের বন্ধন এবং সীমার(Limitations) শেকল থেকে মুক্ত করে।
◘গভীর একাগ্রতা এবং শরীরের নিশ্চলতার মাধ্যমেই ধ্যান শুরু হয়।
◘যখন আমরা দিব্য তরঙ্গকে উপলব্ধি করি তখন আমাদের সচেতনতা বৃদ্ধি পায়, বিশালতার ব্যাপ্তি ঘটে, আমরা একতা প্রাপ্ত হই এবং দিব্য আলো যেমন আছে তেমনই প্রত্যক্ষভাবে উপলব্ধি করতে পারি।
◘ধ্যান আমাদের অনেক কর্মফল পুড়িয়ে দিতে পারে এবং আমাদের জীবন আলোকপূর্ণ, সহজ, উদ্দেশ্যপূর্ণ, দক্ষ-কার্যকরী ও শান্তিপূর্ণ হতে পারে।
◘ধ্যান জীবনের প্রতি ভালবাসা এবং নিজের সত্তা, পরিবার, সমাজ ও সমগ্র বিশ্বের প্রতি সম্পূর্ণতার অনুভূতি বয়ে আনে।
◘ধ্যানের মাধ্যমেই আমাদের জীবনে ইতিবাচকতা পালন করার জন্য পথ প্রশস্ত হয়।
◘ধ্যানই আমাদের নতুন জীবন দেয়।
◘একটি দীর্ঘায়িত সময়ের জন্য গভীর ধ্যান করাকে তপস্যা(Tapas) বলা হয়।
ইতিবাচককরণ / শুভায়ন
◘আমাদের চিন্তা করার ক্ষমতাকে বোঝার মাধ্যমে এবং সেই ক্ষমতা দিয়ে কিভাবে আমরা নেতিবাচক চিন্তা ভাবনাগুলিকে ইতিবাচক চিন্তায় রূপান্তরিত করতে পারি- তার মাধ্যমে ইতিবাচককরণ শুরু হয়।
◘যখনই কোন নেতিবাচক অথবা দুর্বল কোন চিন্তা আমাদের ভেতরে তৈরি হয় অথবা বাইরে থেকে আসে, তৎক্ষণাৎ আমাদের একটি সৎ চিন্তা জাগ্রত করার মাধ্যমে ইতিবাচকতা অর্জন করতে পারি।
◘এটি হল- আমাদের প্রতিটি স্তর থেকে যেমন দেহ, মন, বিজ্ঞানময়সত্তা (Intellect) এবং আত্মা থেকে, কোন নেতিবাচকতার প্রতি সচেতন ভাবে 'না' বলতে পারা।
◘ইতিবাচককরণ হল জীবন এবং জীবনের বিভিন্ন অবস্থার প্রতি একটি ইতিবাচক মনোভাব বজায় রাখতে পারা।
◘সর্তকতা এবং অকৃত্রিম ইচ্ছাই হল ইতিবাচকতার মূল চাবিকাঠি।
◘একটি ইতিবাচক মন সবসময় সজীব, উদ্দীপিত এবং অন্যদের কাছে একটি অনুপ্রেরণা।
◘ইতিবাচক মন সব সময়ই পবিত্র এবং শক্তিশালী। এই ধরনের মনকে কোনো অবস্থাতেই ভুল পথে চালিত করা যায় না অথবা ভুল পরিস্থিতির শিকারও হয় না।
◘প্রকৃত ইতিবাচককরণ ব্যতিরেকে আমরা কখনোই প্রকৃত স্বাধীনতা ও প্রকৃত আনন্দ অনুভব করতে পারবো না।
◘সকল প্রকার দুর্বলতাকে জয় করার যে অন্তর্নিহিত শক্তি আমাদের আছে, তার প্রকৃত অনুধাবন শুধুমাত্র ইতিবাচককরণের মাধ্যমে সম্ভব।
রূপান্তর
◘যা সম্পূর্ণ এবং যাকে পূর্বাবস্থায় ফিরিয়ে আনা যায় না সেই পরিবর্তনই হল রূপান্তর।
◘একজনের কর্মের প্রভাবকে অতিক্রম করার গভীর প্রচেষ্টাই হল আত্ম-রূপান্তর (Self Transformation)।
◘রূপান্তর হল অবাঞ্ছিত যা কিছু আছে তাকে যেতে দেওয়া।
◘একজন রূপান্তরিত ব্যক্তি কখনোই পূ্র্বের অবস্থায় ফিরে যান না এবং সেই জন্য তিনি কখনোই দ্বিধাগ্রস্ত অথবা ভীত হন না।
◘যখন কোন মানুষের মন রূপান্তরিত হয় তখনই প্রকৃত রূপান্তর ঘটে।
◘একজন রূপান্তরিত ব্যক্তি অন্যদের কাছে উদাহরণ, আশা এবং আলোক সংকেত হয়ে ওঠেন।
আমাদের অনুসরণ করুন
সমস্ত কোটেশন দেখতে ...