মন
◘মনকে বলা যেতে পারে জৈব-বিবর্তনের সর্বোচ্চ পর্যায় এবং ষষ্ঠেন্দ্রিয়। মন আমাদের সর্বোচ্চ মানব অভিজ্ঞতার মধ্যে দিয়ে যেতে সাহায্য করে।
◘মনের প্রধান লক্ষ্য হল, মায়ার সাহায্যে জাগতিক সৃষ্টির অভিজ্ঞতা লাভ করা।
◘মন অন্য পাঁচটি ইন্দ্রিয়ের সঙ্গে সমন্বয় করে চলে- কর্ণ, ত্বক, চক্ষু, জ্বিহা ও নাসিকা এবং এগুলির সাহায্যে ক্রমান্বয়ে শব্দ, স্পর্শ, দৃশ্য, স্বাদ এবং গন্ধের প্রত্যক্ষণ ঘটে।
◘শরীর এবং মন যৌথভাবে কাজ করে এবং মস্তিষ্ককে সকল ইন্দ্রিয়ের একটি সমন্বয়কারী বিন্দু হিসেবে ব্যবহার করে।
◘মন-ই যাবতীয় আবেগের অধিষ্ঠান। এখানে সমস্ত স্মৃতি এবং কর্ম সঞ্চিত হয়ে থাকে।
◘সমগ্র মানব দেহতন্ত্রকে মন নিয়ন্ত্রণ করে এবং তাকে বিস্তৃত করার ক্ষমতাও রাখে। মনের ইচ্ছায় সমগ্র ব্রহ্মাণ্ড নিয়ন্ত্রিত হতে পারে।
◘মনের কার্যকারিতা অতি সূক্ষ্ম এবং দুরূহ।
◘ স্মরণ করা এবং স্মৃতি-উদ্ধার (Retrieving) করা ইত্যাদি।
◘অতিরিক্ত কর্মফলের বোঝা আমাদের মনকে শিথিল করে দেয় এবং আত্মিক উত্তরণে বাধার সৃষ্টি করে।
◘মনের পবিত্রতার উপরেই একজন ব্যক্তির সামগ্রিক শুদ্ধতা নির্ভর করে। সেই কারণে, আমাদের মনকে যাবতীয় মানসিক অশুদ্ধি তথা ষড়রিপুর হাত থেকে মুক্ত রাখা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি কর্তব্য।
◘মনের পঙ্কিলতা মুছে মনকে পরিশুদ্ধ করে তুলতে সাধনা একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
অহংকার
◘নিজের অথবা নিজ-আত্মার একটি ভুল পরিচয়ের নামই হল অহংকার ।
◘নিজের আত্মার সঙ্গে সম্পর্কিত হওয়ার পরিবর্তে নিজের শরীর অথবা মনের সঙ্গে আমিত্বকে সংযুক্ত করাই হল অহংকার ।
◘অহংকার তখনই জাগ্রত হয়, যখন আমাদের আত্মা আমাদের শরীরের মধ্যে থেকে এই পার্থিব শরীরকেই সত্য মনে করে এবং নিজের প্রকৃত পরিচয় ভুলে যায়।
◘ মন এবং মায়াই অহংকারকে জন্ম দেয়।
◘ মন এবং মায়াই এই অহংকারকে জন্ম দেয়।
◘অহংকার সীমাবদ্ধ করে। অহংকার ভুল পথে পরিচালনা করে।
◘অহংকার সীমাবদ্ধ করে। অহংকার ভুল পথে পরিচালনা করে।
◘অহংকার সাধনার পথে চলে আসে এবং আত্ম-সাক্ষাৎকারের লক্ষ্যে উন্নতি করার পথে বাধার সৃষ্টি করে।
◘একমাত্র ভালোবাসা থাকলেই সকল অহংকার বিলীন হয়।
কর্ম
◘কর্ম হল আমাদের যে কোন কাজের ফল।
◘যে উদ্দেশ্যে কোন কর্ম (কার্য) সংঘটিত হয়, তার উপর নির্ভর করে যে, তা কি ধরনের শুভ অথবা অশুভ কর্মচিহ্ন আকর্ষণ করবে এবং একেই 'সুকর্ম' অথবা 'কুকর্ম' বলা হয়।
◘সুকর্ম সুখ এবং কুকর্ম দুঃখ বয়ে আনে।
◘এই ধরনের কর্মচিহ্ন একই ধরনের ভালো অথবা খারাপ কর্মকে আকর্ষণ করে ও প্রভাবিত করে এবং তা একটি প্রবণতায় পরিণত হওয়ার মাধ্যমে, ক্রমশ আমাদের স্বভাবে পরিণত হয়ে যায় এবং সেইটি আমাদের নিয়তি তৈরি করে।
◘কর্মচিহ্নগুলি শরীর এবং মনে গেঁথে যায়।
◘যখন আমরা কোন কাজ অহংকারের দ্বারা বশীভূত হয়ে করি তখন আমাদের মন, অশুভ কর্মচিহ্নগুলিকে নেতিবাচক রূপে(Arishadvargas) অথবা ছয়টি নেতিবাচক প্রবণতা হিসেবে প্রদর্শন করে।
◘যখন আমরা কোন কাজ আমাদের আত্ম-সচেতনতার(Soul Awareness) সাথে করি এবং 'আমি কর্মকর্তা' এই চিন্তা বর্জন করে অথবা সমর্পিত অবস্থায় করি, তখন আমরা কোন কর্ম আকর্ষণ করি না। এই ধরনের কর্মকে কর্মযোগ বলা হয়।
◘কর্ম যা ভালো অথবা খারাপ উভয় ক্ষেত্রেই আমাদের মনের স্মৃতিতে এক ধরনের ভার তৈরি করে এবং সামনে এগিয়ে যাওয়ার পথে বাধা হয়ে দাঁড়ায়।
◘কর্মের ফলেই আমরা আত্মা হিসেবে এই পৃথিবীতে আবদ্ধ থাকি, যার ফলে আমরা ঊর্ধ্বগামী হতে পারি না।
◘কর্মের ফলেই জীবন ও মৃত্যুচক্র সংঘটিত হয়।
◘এই জীবনের উদ্দেশ্যই হল, আমাদের কর্মগুলিকে মুক্ত করা, এই জীবন ও মৃত্যুচক্র ভেঙ্গে দেওয়া এবং আমাদের প্রকৃত আলোক-গৃহে ফিরে যাওয়া।
আমাদের অনুসরণ করুন
সমস্ত কোটেশন দেখতে ...