শ্রীদেবাত্মানন্দ শামবালা
শ্রীদেবাত্মানন্দ শামবালা একজন দেব-সাক্ষাৎকারপ্রাপ্ত দিব্যপুরুষ (Enlightened Master) এবং আধ্যাত্মিক গুরু। বর্তমানে তিনি ঋষি-প্রদত্ত কর্ম সম্পন্ন করতে নিয়োজিত। সেইসঙ্গে, ধ্যানযোগ ও ইতিবাচককরণ পদ্ধতির মাধ্যমে প্রকৃত আধ্যাত্মিক সাধকদের সপ্তঋষি ও সিদ্ধাগণের দিব্যমার্গে পথপ্রদর্শনের ও বিরল অধ্যাত্মজ্ঞান প্রদানের বিশেষ কর্মযোগ করে চলেছেন।
প্রারম্ভিক এবং ব্যক্তিগত জীবন
মাত্র ৭ বছর বয়সেই তাঁর জীবনে অধ্যাত্ম সন্ধানের সূচনা হয় তাঁর মায়ের মুখে ভক্ত মার্কণ্ডেয় মহাঋষির কাহিনী শুনে। দেবাদিদেব মহাদেবের প্রতি মার্কণ্ডেয় মহাঋষির গভীর ভক্তি এবং বিভিন্ন ঘটনা পরম্পরায় কিভাবে তিনি অমরত্ব লাভ করলেন এবং ব্রহ্মঋষি হয়ে উঠলেন- মায়ের মুখে বলা সেই কাহিনিই শ্রীদেবাত্মানন্দ শামবালার মধ্যে প্রথম অধ্যাত্ম সাধনার বীজ বপন করে। মার্কণ্ডেয় মহাঋষির কথা গভীরভাবে চিন্তা করতে করতেই তাঁর মধ্যে আধ্যাত্মিক যাত্রার দিব্যস্পর্শ সঞ্চারিত হয়। শ্রীদেবাত্মানন্দ শামবালার মাতৃদেবী পুত্রের জীবনে এক নিত্য প্রেরণার উৎসস্বরূপ হয়ে উঠেছিলেন এবং পুত্রের জীবনকে নানাভাবে অধ্যাত্ম কর্মকাণ্ডে উৎসাহিত ও নিয়োজিত করার ক্ষেত্রে প্রগাঢ় ভূমিকা নিয়েছিলেন। দিনে দিনে তাঁর মধ্যে ঈশ্বর এবং ঋষিগণের প্রতি দিব্যআবেগ জেগে ওঠে।
আইটি শিল্পতালুকে (IT Industry) পেশাদারিত্বের কর্মজীবন অতিবাহিত করার পাশাপাশি সুখ-সন্তোষপূর্ণ পারিবারিক জীবন যাপন করলেও, সময়ের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তাঁর অধ্যাত্ম-সাধনার জীবন এবং অতিলৌকিক দিব্যসংযোগ বৃদ্ধি পেতে থাকে।
শ্রীদেবাত্মানন্দ শামবালা, সপ্তঋষি এবং সিদ্ধাগণের দিব্য আহ্বানে সাড়া দিয়ে ব্রহ্মঋষি হারমিটেজ প্রতিষ্ঠা করেন ২০১৪ সালে। তিনি উন্নততর ধ্যানসাধনা পদ্ধতি, ক্রিয়াযোগ, যোগাসন, বিবিধ প্রকারের ইতিবাচককরণ পদ্ধতির প্রয়োগ এবং বিভিন্ন আধ্যাত্মিক প্রকৌশল ও দিব্যনিরাময় পন্থার শিক্ষাদান করেন, যার মধ্যে দিয়ে সাধকদের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও সুস্থতা সাধিত হয়।
প্রথম দীক্ষা
২৬ বছর বয়সে বেদাত্রি মহাঋষির দ্বারা কুণ্ডলিনী যোগ-সাধনায় তিনি প্রথম দীক্ষাপ্রাপ্ত হলেন। বেদাত্রি মহাঋষি একজন অতীন্দ্রিয়বাদী গুরু এবং এক মহান সিদ্ধা। বেদাত্রি মহাঋষি তাঁকে সূক্ষ্মস্তরের কর্মযোগের শিক্ষা দান করেন। এরপর, বেদাত্রি মহাঋষির মহাসমাধি ঘটলে, মহাবতার বাবাজী'র আশীর্বাদে, তিনি গুরুজী কৃষ্ণানন্দের সংস্পর্শে আসেন। গুরুজী কৃষ্ণানন্দ- সপ্তঋষিগণের এক ঋষি, মহান আধ্যাত্মিক গুরু। ২০০৭ সালের নভেম্বরে গুরুজী কৃষ্ণানন্দ, শ্রীদেবাত্মানন্দ শামবালাকে ধ্যানযোগে দীক্ষিত করেন। গুরুজী কৃষ্ণানন্দের কাছ থেকেই তিনি সপ্তঋষিগণের বিষয়ে প্রথম অবগত হলেন, সেইসঙ্গে বিশ্বামিত্র মহাঋষি, মহাঋষি অমরা এবং অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ মহান ঋষিগণের বিষয়ে অবহিত হলেন। উচ্চস্তরীয় দীক্ষাসমূহ সম্পর্কে, সূক্ষ্ম অধ্যাত্মস্তর সম্পর্কে এবং বস্তু-জগতের অতীত সূক্ষ্ম-জাগতিকলোক সম্পর্কে শিক্ষালাভ করলেন।
ঋষিত্বের প্রথম স্তর
২০১১সালের ৩রা ফেব্রুয়ারি, গুরুজী কৃষ্ণানন্দ ও তাঁর গুরু মহর্ষি অমরার সূক্ষ্ম উপস্থিতিতে, শ্রীদেবাত্মানন্দ শামবালা ঋষিত্বের প্রথম স্তরে দীক্ষিত হলেন। এবং সেই থেকেই সূক্ষ্মজাগতিক স্তরে মহাঋষিগণের কর্মসম্পাদনের লক্ষ্যে তাঁর যাত্রা শুরু হল।
তাঁর গুরুদেব গুরুজী কৃষ্ণানন্দের মহাসমাধির পরে, শ্রীদেবাত্মানন্দ শামবালা আইটি শিল্পতালুকের সঙ্গে তাঁর পেশাদার কর্মজীবনের সংযোগ ছিন্ন করেন এবং ঋষি ও ঋষিগণের কর্মসম্পাদনের প্রতি তাঁর সম্পূর্ণ জীবন উৎসর্গ করেন। সেই থেকে সূক্ষ্মজাগতিক স্তরে ভোগানাথর সিদ্ধা, ভরদ্বাজ মহাঋষি এবং বশিষ্ঠ মহাঋষির দ্বারা তিনি প্রশিক্ষিত ও পরিচালিত হয়ে চলেছেন।
ব্রহ্মঋষি হারমিটেজ
শ্রীদেবাত্মানন্দ শামবালা, সপ্তঋষি এবং সিদ্ধাগণের দিব্য আহ্বানে সাড়া দিয়ে ব্রহ্মঋষি হারমিটেজ প্রতিষ্ঠা করেন ২০১৪ সালে। তিনি উন্নততর ধ্যানসাধনা পদ্ধতি, ক্রিয়াযোগ, যোগাসন, বিবিধ প্রকারের ইতিবাচককরণ পদ্ধতির প্রয়োগ এবং বিভিন্ন আধ্যাত্মিক প্রকৌশল ও দিব্যনিরাময় পন্থার শিক্ষাদান করেন, যার মধ্যে দিয়ে সাধকদের সর্বাঙ্গীণ কল্যাণ ও সুস্থতা সাধিত হয়।
শ্রীদেবাত্মানন্দ শামবালা, আন্তরিক ও নিষ্ঠাবান সাধকদের জন্য অধ্যাত্মদীক্ষা ও পথপ্রদর্শন প্রদান করেন। সেইসাথে, সাপ্তাহিক সৎসঙ্গ (Weekly Classes) এবং পর্বে পর্বে অধ্যাত্ম সমাগম ও অধিবেশন (Spiritual Retreats) পরিচালনা করেন, যার দ্বারা আধ্যাত্মিক সমৃদ্ধি ও রূপান্তর সম্ভব হয়।
শ্রী দেবাত্মানন্দ শামবালার শিক্ষা ও শিক্ষাদানের প্রণালী সরল অথচ অতি শক্তিশালী এবং সমৃদ্ধ, যার প্রয়োগে বহু মানুষের জীবন ইতিবাচকরূপে পরিবর্তিত হয়েছে এবং আধ্যাত্মিক জ্ঞানান্বেষণের মাধ্যমে উচ্চতর আধ্যাত্মিক অভিজ্ঞতা লাভের সহায়ক হয়েছে। তাঁর শিক্ষা প্রণালীর মূল লক্ষ্য হল সাধকদের মধ্যে নিহিত নিঃশর্ত ভালোবাসার মুক্তি ঘটানো, জীবনের কঠিন পরিস্থিতির মোকাবিলা করা, বিনয় ও নম্রতার শিক্ষা, সকলের ও সবকিছুর মধ্যে একাত্মতা প্রতিষ্ঠা করা, রূপান্তরসাধন ও ঈশ্বরের প্রতি সম্পূর্ণ সমর্পণ করা।
তাঁর প্রকৃতি | তাঁর প্রকল্পসমূহ
শ্রীদেবাত্মানন্দ শামবালার অনুসারীবৃন্দের মতে, তিনি বন্ধুসুলভ, নিঃশর্ত ভালোবাসায় পূর্ণ, সহমর্মী ও বিনয়ী একজন মানুষ। যেসকল মানুষের কাছে অধ্যাত্মবাদ হল পৃথিবীর যেকোনো প্রান্তের যেকোনো মানুষের বেঁচে থাকার এক জীবনশৈলী, তাঁদের কাছে শ্রীদেবাত্মানন্দ শামবালা এক অনন্য দিব্য-অধিষ্ঠান। এক সাধারণ গৃহস্থ থেকে দেব-সাক্ষাৎকারপ্রাপ্ত দিব্যপুরুষ হয়ে ওঠার তাঁর নিজস্ব ব্যক্তিজীবন, সকলের চোখের সামনে সংঘটিত হয়েছে।
প্রভু শ্রীকল্কিদেব এবং সপ্তঋষিগণের দ্বারা দীক্ষিত ও পরিচালিত শ্রীদেবাত্মানন্দ শামবালা, সমগ্র বিশ্ব ও মানবতার সার্বিক কল্যাণ ও 'চৈতন্য-সঞ্চার' (Shift of Consciousness) প্রক্রিয়ায় নিয়োজিত বহু দিব্য প্রকল্পের অন্যতম হোতা। বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিশেষ, বিরল আধ্যাত্মিক শক্তির প্রোথিতকরণ (Anchoring of rare special energies), ঋষিকর্মের (Rishis' Work) অন্তর্গত বিভিন্ন সূক্ষ্মজাগতিক কর্ম সম্পাদনের মাধ্যমে তিনি তাঁর লক্ষ্যে কাজ করে চলেছেন।
আমাদের অনুসরণ করুন
সমস্ত কোটেশন দেখতে ...