ধর্ম
◘ধর্ম হল আমাদের সত্তার মূল নির্যাস প্রেম ও পবিত্রতার প্রকৃত গুণাবলীকে ধারণ করা।
◘ধর্ম হল আলোর পথকে নির্বাচন করা এবং তার পক্ষ অবলম্বন করা।
◘ধর্ম হলো নির্ভীক ভাবে বাঁচা।
◘ধর্ম হলো আমাদের চৈতন্যের অনুসরণ।
◘যা কিছু আমরা আমাদের চেতনার বিপরীতে করে থাকি, তাই হলো অধর্ম।
◘আমাদের অন্তর সত্তার ধর্ম এবং অধর্মের দ্বন্দ্বই হল ধর্মযুদ্ধ।
◘ধর্ম এবং অধর্মের পারস্পরিক লীলাই হল মায়ার অংশ।
◘এখনো মহাজাগতিক নিয়ম যে সর্বদা অধর্মের ওপর ধর্মের জয় হবে।
◘যদি আমরা ধর্মকে ধারণ করি তবে ধর্মই আমাদের ধারণ করবে।
◘ধর্ম কখনো পরাস্ত হয় না।
আধ্যাত্মিকতা
◘আত্মার বিজ্ঞানই হল আধ্যাত্মিকতা।
◘আধ্যাত্মিকতা আমাদের ধর্ম শেখায়।
◘আধ্যাত্মিকতা আমাদের অব্যর্থ জ্ঞান দান করে এবং ধর্ম অনুসরণ করার শক্তি দেয়।
◘আধ্যাত্মিকতা হল একজনের ইন্দ্রিয় অনুভূতির উপরে উঠে নিজেকে অথবা নিজ-আত্মাকে উপলব্ধি করা।
◘আত্ম-সাক্ষাৎকার বা তারও উপরের স্তরে যাওয়ার জন্য আধ্যাত্মিকতা আমাদের উপযোগী কৌশল প্রদান করে।
◘নিজের ভেতরে অনুসন্ধান করার একটি অকৃত্রিম প্রচেষ্টাই হল আধ্যাত্মিকতার মূল ভিত্তি।
◘মহাঋষিগণই আমাদের আধ্যাত্মিকতার জ্ঞান দান করেছেন।
◘আধ্যাত্মিকতাই সকল ধর্মের নির্যাস। সেই জন্য আধ্যাত্মিকতা হল বিশ্বজনীন।
◘একজন আধ্যাত্মিক ব্যক্তিই জীবন এবং জীবনের বিভিন্ন পরিস্থিতির প্রতি সর্বদা একটি ইতিবাচক মনোবৃত্তি রাখতে সক্ষম।
সাধনা
◘সাধনা আর কিছুই নয়, একটি নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছনোর জন্য গৃহীত কিছু শৃঙ্খলা।
◘সাধনা হল নিরন্তর ও একনিষ্ঠভাবে কোনও একটি কাজের অভ্যাস।
◘আত্ম-সাক্ষাৎকার হল আধ্যাত্মিক সাধনার প্রথম লক্ষ্য।
◘সাধনায় আমাদের ও ঈশ্বরের মধ্যেকার দূরত্বকে অতিক্রম করতে চেষ্টা করা হয়।
◘সাধনা হল গুরুর নির্দেশের অনুসরণ।
◘সাধনা হল আত্মার ডাক , যে কোনও বয়সেই সেই ডাকে সাড়া দিয়ে সাধনা শুরু করা যেতে পারে।
◘সাধনায় আস্থা, ধৈর্য এবং গ্রহীতার মনোভাব প্রয়োজন।
◘সাধনা, পার্থিব ও আধ্যাত্মিক জীবনের মধ্যে ভারসাম্য রেখে চলার মতো মানসিক পরিপক্কতা দান করে।
দীক্ষা
◘দীক্ষা হল একজন গুরুর থেকে আধ্যাত্মিক অনুসন্ধানকারীর( Spiritual Seeker) মধ্যে আধ্যাত্মিক শক্তির স্থানান্তরকরণের প্রক্রিয়া।
◘দীক্ষার সময় আত্মাকে তার উৎসের( আলো ) সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়।
◘একমাত্র গুরুর কৃপাতেই দীক্ষালাভ সম্ভব হয় ।
◘দীক্ষা পুঙ্খানুপুঙ্খ রূপে আমাদের শরীর-মন আত্মাকে সমগ্রভাবে পরিশুদ্ধ করে এবং দিব্য শক্তি গ্রহণ করে সাধন প্রক্রিয়াকে সাহায্য করে।
◘দীক্ষা, সাধনা আরম্ভ করা এবং গুরুর প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ হওয়াকে চিহ্নিত করে।
◘একজন সাধক যখন সাধনাতে অগ্রসর হতে থাকে , তার দীক্ষার প্রক্রিয়া এগিয়ে চলতে থাকে।
◘উচ্চস্তরে দীক্ষার অনুশীলনের দ্বারা আধ্যাত্মিক অগ্রগতি চিহ্নিত করা হয়। এই ধরনের প্রত্যেকটি দীক্ষাই উন্নতির এক-একটি মাইলফলক (Milestone)।
আমাদের অনুসরণ করুন
সমস্ত কোটেশন দেখতে ...