ওঁ ধ্যান
ওঁ(Aum) একটি মন্ত্র। মন্ত্রের অর্থ হল, একটি শব্দ যা বিশেষ পদ্ধতিতে উচ্চারণ করা হয় এবং যা একটি তরঙ্গ উৎপন্ন করে । এই সমগ্র সৃষ্টিই প্রকৃতপক্ষে বিভিন্ন স্তরের তরঙ্গে কম্পিত মহাশক্তির প্রতিধ্বনি। কোন জায়গায় কোন কম্পন সৃষ্টি হলে সেখানে একটি শব্দও সৃষ্টি হতে বাধ্য। সুতরাং, এই সমগ্র অস্তিত্বই বিশেষ ধরনের শব্দ তরঙ্গের একটি জটিল সংমিশ্রণ।
ওঁ(Aum) শব্দটি একটি আদিম মহাজাগতিক শব্দ, যা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রতিটি পরমাণুতে স্পন্দিত হয়। এটি এই সমগ্র অস্তিত্বের তিনটি কম্পিত অবস্থাকে বর্ণনা করে- সৃষ্টি (A-Akaar), স্থিতি(U-Ukaar) এবং বিলয়(M-Makaar)। সেজন্য আমরা ওঁ(Aum) শব্দটি উচ্চারণ করি, যা নতুন শক্তি সৃষ্টি করতে সাহায্য করে, অন্তরে বিদ্যমান শক্তিকে সংরক্ষণ করে এবং আমাদের শরীর-মন ও বিজ্ঞানময়সত্তা থেকে অবাঞ্ছিত শক্তিকে মুক্ত করতে সাহায্য করে।
গভীর নীরবতায় একজন তার ভেতরের ওঁ(Aum) শব্দটি শুনতে পায়, সুতরাং ওঁ(Aum) শব্দটিকে নীরবতার শব্দও(Sound of Silence) বলা যেতে পারে। ওঁ(Aum) শব্দটি এক অক্ষরের এক অনন্য শব্দ, যা বাকশক্তিহীন ব্যক্তিও সহজেই উচ্চারণ করতে পারেন।
ওঁ(Aum) শব্দটি একটি আদিম মহাজাগতিক শব্দ, যা এই বিশ্বব্রহ্মাণ্ডের প্রতিটি পরমাণুতে স্পন্দিত হয়। এটি এই সমগ্র অস্তিত্বের তিনটি কম্পিত অবস্থাকে বর্ণনা করে- সৃষ্টি (A-Akaar), স্থিতি(U-Ukaar) এবং বিলয়(M-Makaar)। সেজন্য আমরা ওঁ(Aum) শব্দটি উচ্চারণ করি, যা নতুন শক্তি সৃষ্টি করতে সাহায্য করে, অন্তরে বিদ্যমান শক্তিকে সংরক্ষণ করে এবং আমাদের শরীর-মন ও বিজ্ঞানময়সত্তা থেকে অবাঞ্ছিত শক্তিকে মুক্ত করতে সাহায্য করে। ওঁ(Aum) মন্ত্রটি সর্বাপেক্ষা শক্তিশালী এবং এটি নিজেই একটি বিশেষ জ্ঞান (বিজ্ঞান)।
পদ্ধতি
একটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন স্থানে বসুন।
নিজের মনেই ধীরে অথবা একটু জোরে ওঁ(Aum) মন্ত্রটি উচ্চারণ (Chant) করতে থাকুন।
মন্ত্রের শক্তি তরঙ্গ অনুভব করতে চেষ্টা করুন এবং সেই শক্তি শরীরের বিভিন্ন অংশে ছড়িয়ে দিন।
উদ্দেশ্য
দিব্য আলোক থেকে প্রত্যক্ষভাবে আগত দিব্য শক্তির দ্বারা আমাদের শরীর, মন ও বিজ্ঞানময়সত্তাকে তৎক্ষণাৎ দেবোপম করে তুলতে, ওঁ ধ্যান করা হয়।
কে
আট বছরে ঊর্ধ্বে যে কেউ
কোথায়
ঘরের বাইরে অথবা ভেতরে।
কখন
দিনের যে কোন সময়। কোন উপবাসের সময় যখন আমরা এই অনুশীলন করি তখন তা আমাদের শরীর এবং মনের শক্তির স্তরকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং সারাদিন দিব্য সংযোগে থাকতে সাহায্য করে।
কতক্ষণ
দশ থেকে কুড়ি মিনিট।
উপকারিতা
শরীরের রোগ প্রতিরোধশক্তি ও স্বনিরাময় ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে সাহায্য করে।
যেকোনো স্বাস্থ্য সম্পর্কিত ও থাইরয়েড সম্পর্কিত অসুস্থতাকে সারিয়ে তুলতে সাহায্য করে।
আমাদের মন এবং শরীরকে বিশ্রাম দেওয়া ও রক্তচাপকে নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে এবং হৃদস্পন্দনকে একটি নির্দিষ্ট ছন্দে বজায় রাখার মাধ্যমে হৃদপিণ্ড ও রক্তনালী(Cardiovascular) সম্পর্কিত যে কোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে।
আমাদের কণ্ঠ ও সংলগ্ন পেশীতে শক্তি যোগানোর মাধ্যমে কন্ঠস্বরের উন্নতি করতে সাহায্য করে।
আমাদের পার্থিব এবং আধ্যাত্মিক জীবনে ভারসাম্য বজায় রাখতে সাহায্য করে।
প্রভূত তরঙ্গ সৃষ্টির মাধ্যমে মন্ত্রের শক্তিকে বাড়িয়ে দিতে পারে, যা আমাদের চারপাশকে উজ্জীবিত করে তুলতে এবং আমাদের চারপাশে একটি রক্ষাকবচ তৈরি করতে সাহায্য করে। এটি ঘটে, যখন একসাথে কিছু মানুষ এই মন্ত্রের উচ্চারণ করতে থাকেন। স্থানটি তখন একটি শক্তি কেন্দ্র হয়ে ওঠে এবং দিব্য আকর্ষণের একটি কেন্দ্রতে (Centre of attraction of Divinity) পরিণত হয়।
ওঁ(Aum) ধ্যানের নিয়মিত ও কার্যকরী অনুশীলন করলে তা সহজেই সমাধি অবস্থা অর্জন করতে সাহায্য করে।
আমাদের অনুসরণ করুন
সমস্ত কোটেশন দেখতে ...