যোগনিদ্রা

যোগনিদ্রা


Brahmarishis Hermitage Devatmananda Shamballa Rishis Siddhas Siddhar Sprituality Kalki Saptharishis Saptarishis
                    Divine Soul Guru Wisdom Positive Quotes

যোগনিদ্রা, যৌগিক নিদ্রা নামেও পরিচিত। এটি এমন একটি চেতনার স্তর যা জাগরণ এবং স্বপ্নাবস্থার মধ্যবর্তী। সাধারণ ঘুমের থেকে এই অবস্থাটি আলাদা; এইসময় বাহ্যিকভাবে বিশ্রামের অবস্থায় থেকে, সচেতনতার সাথে আমরা অন্তর্মুখীভাবে সতর্ক হতে সচেষ্ট হই।

এক্ষেত্রে, অন্তর্মুখী সতর্কতা আমাদের চেতনার স্তরকে 'ভাবনা'র থেকে 'অনুভূতি'তে পরিবর্তিত করে এবং এই অবস্থায় আমরা আমাদের অন্তর্গত দিব্যশক্তিক্ষেত্রকে অনুভব করতে পারি ও তাতে মনোনিবেশ করতে পারি, এই সময় সমগ্র মানবদেহে সঞ্জীবনী প্রক্রিয়া ( Rejuvenation) চলতে থাকে এবং আমাদের শরীরে নিরাময় সম্ভব হয়। সেইসঙ্গে, আমাদের চেতনার স্তরে একটি পরিবর্তন এবং প্রসারণ ঘটে, যা আমাদের প্রতিদিনের সাধনাকে প্রবলভাবে সাহায্য করে।

যোগনিদ্রা, যৌগিক নিদ্রা নামেও পরিচিত। এটি এমন একটি চেতনার স্তর যা জাগরণ এবং স্বপ্নাবস্থার মধ্যবর্তী। সাধারণ ঘুমের থেকে এই অবস্থাটি আলাদা; এইসময় বাহ্যিকভাবে বিশ্রামের অবস্থায় থেকে, সচেতনতার সাথে আমরা অন্তর্মুখীভাবে সতর্ক হতে সচেষ্ট হই। এই পদ্ধতি বহু প্রাচীন একটি যৌগিক অভ্যাস, যা সামগ্রিকভাবে স্বাস্থ্য-উদ্ধার এবং দেহে-মনে সম্পূর্ণ নিরাময় অনুভব ও অন্তর্জাগরণের উদ্দেশ্যে, ঋষিগণের দ্বারা প্রবর্তিত।

পদ্ধতি


Brahmarishis Hermitage Devatmananda Shamballa Rishis Siddhas Siddhar Sprituality Kalki Saptharishis Saptarishis
                    Divine Soul Guru Wisdom Positive Quotes

আরামদায়ক ভাবে চিত হয়ে শুয়ে পড়ুন এবং চোখ বন্ধ করুন। সমগ্র দেহকে বিশ্রামের অবস্থায় নিয়ে আসুন।

নিজের দুটি হাতকে দুদিকে মেলে দিতে হবে, যাতে হাতের চেটো উপরের দিকে থাকে এবং পা'দুটি সামান্য ফাঁক করে বিশ্রাম অবস্থায় শুতে হবে। এ সময় ধীরে ধীরে ও গভীরভাবে কয়েকটি শ্বাস গ্রহণ ও ত্যাগ করুন।

নিজের পায়ের প্রতি মনঃ সংযোগ করে পদ্ধতিটি শুরু করুন। পায়ের দিকে মনোযোগ দিন এবং সচেতনভাবে পা দুটিকে বিশ্রাম দিন। এইসময় আমাদের পায়ে যে নিজস্ব দিব্যশক্তি রয়েছে, তার তরঙ্গকে প্রত্যক্ষভাবে অনুভব করুন। সময় নিয়ে করুন এবং সচেতনভাবে নিজেকে বিশ্রাম অবস্থায় রাখুন।

পড়তে থাকুন ...

এইবার, পায়ের পাতা থেকে ধীরেসুস্থে পায়ের গুলি বা ডিম অংশে (Calf Muscles), এবং সেখান থেকে হাঁটু (Knee) হয়ে উরু(Thigh) অংশে নিজের মনকে নিয়ে যান এবং ওই অংশে মনঃসংযোগ করুন। যেন ধীরে ধীরে পায়ের প্রত্যেকটি অংশে এইভাবে আপনি মনঃসংযোগ করতে পারেন -সেইটি নিশ্চিত করুন। এর জন্য যতক্ষণ প্রয়োজন সময় নিন। এরপর ধীরে ধীরে, আপনার মনোযোগ নিয়ে যান আপনার নিতম্ব অংশে (Hip) এবং তারপর দেহের সমগ্র নিম্নাঙ্গে। এর জন্য যতক্ষণ প্রয়োজন সময় নিন, কোনো তাড়াহুড়ো করবেন না, সচেতনভাবে নিজেকে বিশ্রাম দিন।

নিম্ন নিতম্বে ( lower hip) এবং শ্রোণীচক্রে (pelvic region) আপনার মনোযোগ স্থানান্তরিত করুন এবং এরপর পাকস্থলী (stomach) এবং তারপর পেট ও বুক অংশে মনোযোগ ধীরে ধীরে স্থানান্তরিত করুন। আপনার যতটা সময় প্রয়োজন, ততটাই নিন।

ক্রমশ আপনার কাঁধ, বাহু, কব্জি, হাতের তালু এবং আঙুলে আপনার মনোযোগ স্থানান্তরিত করুন এবং এই সমস্ত অংশ থেকে যাবতীয় চাপ সম্পূর্ণরূপে বিমুক্ত করুন, কেবলমাত্র সাধারণ বিশ্রাম করার মাধ্যমে। এখান থেকে আপনার গলা, ঘাড় এবং মুখমণ্ডলে মনোযোগ স্থানান্তরিত করুন। এইবার আপনার মস্তকের দিকে মনোযোগ স্থানান্তরিত করুন। এর জন্য প্রয়োজনীয় সময় নিন, কোনরকম তাড়াহুড়ো করবেন না। সচেতনভাবে নিজেকে বিশ্রাম অবস্থায় আনুন।

এইবার সমগ্র দেহে আপনার মনঃসংযোগ নিবদ্ধ করুন এবং সমগ্র দেহে যে দিব্যশক্তি রয়েছে, তার তরঙ্গকে অনুভব করতে চেষ্টা করুন। এখন কল্পনা করুন অথবা দৃশ্যটি মনে মনে দেখতে চেষ্টা করুন যে, আপনার সমগ্র দেহ শ্বেতশুভ্র আলোক দ্বারা ভরে আছে এবং সেই আলোর উজ্জ্বলতা ও শক্তিকে আপনি আপনার শরীরের মধ্যে ও আপনার চারপাশে প্রত্যক্ষভাবে অনুভব করতে পারছেন।

নিজের সম্পূর্ণ দেহটিকে বিশ্রামরত অবস্থায় রাখুন। এটি নিশ্চিত করুন যেন আপনি সমস্ত রকম চাপ, যন্ত্রণা এবং রোগ থেকে সম্পূর্ণভাবে মুক্ত এবং পূর্ণাঙ্গভাবে নিজের সঞ্জীবনকে অনুভব করুন। নিশ্চিত করুন যে আপনার শরীরের সমস্ত চক্র নির্মল হয়ে যাচ্ছে এবং সমগ্র দেহতন্ত্রটি দিব্যশক্তির দ্বারা পরিপূর্ণ হয়ে উঠছে এবং পরিশুদ্ধ হচ্ছে। এই সংকল্পটি দৃঢ় করতে থাকুন এবং নিঃশ্বাস-প্রশ্বাসের ছন্দকে পর্যবেক্ষণ করুন। এই অবস্থায় যতক্ষণ ইচ্ছে বিশ্রাম নিন।

ক্রমশ এবার এই অবস্থা থেকে বেরিয়ে আসুন এবং ধীরে ধীরে আপনার হাত-পা এবং দেহটিকে নাড়াতে থাকুন। শোয়া অবস্থা থেকে ডানদিকে ঘুরে তারপর উঠে বসুন।

আপনার চোখ দুটি ধীরে ধীরে খুলুন।

উদ্দেশ্য


ঘুমের ঘাটতি মেটাতে এবং আত্ম-সচেতনতার অবস্থাকে প্রসারিত করাই যোগনিদ্রার উদ্দেশ্য।

Brahmarishis Hermitage Devatmananda Shamballa Rishis Siddhas Siddhar Sprituality Kalki Saptharishis Saptarishis
                    Divine Soul Guru Wisdom Positive Quotes

কে


আট বছরে ঊর্ধ্বে যে কেউ

কোথায়


ঘরের বাইরে অথবা ভেতরে।

কখন


দিনের যে কোন সময়। কোন উপবাসের সময় যখন আমরা এই অনুশীলন করি তখন তা আমাদের শরীর এবং মনের শক্তির স্তরকে নিয়ন্ত্রণ করতে সাহায্য করে এবং সারাদিন দিব্য সংযোগে থাকতে সাহায্য করে।

কতক্ষণ


কম করে ১৫ থেকে ৩০ মিনিট।

উপকারিতা


Brahmarishis Hermitage Devatmananda Shamballa Rishis Siddhas Siddhar Sprituality Kalki Saptharishis Saptarishis
                    Divine Soul Guru Wisdom Positive Quotes

যোগনিদ্রার নিয়মিত অভ্যাসের নিম্নলিখিত শারীরবৃত্তীয়, মানসিক এবং আধ্যাত্মিক উপযোগিতা আছে: এটি সাহায্য করে-

নিদ্রার পরিমাণ কম করে তার গুণগত মান বৃদ্ধিতে। অন্তত ৩০মিনিট নিয়মিত, নিখুঁত এবং গভীর যোগনিদ্রার অভ্যাসের দরুন দু'ঘণ্টা ঘুমের প্রয়োজনীয়তা কমানো যায়।

সমগ্র শরীরকে সঞ্জীবিত করে তুলতে।

শরীর ও মন থেকে যাবতীয় ক্লান্তি, চাপ ও যন্ত্রনা দূর করতে।

আমাদের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বৃদ্ধি করতে।

মনে শান্ত ভাব, স্বচ্ছতা, সর্তকতা এবং শান্তি আনতে ।

আমাদের ইন্দ্রিয়কে এবং আবেগকে নিয়ন্ত্রণ করতে।

মনঃসংযোগ বৃদ্ধি করতে।

দ্রুত আধ্যাত্মিক অগ্রগতি ঘটাতে।

প্রসারিত সর্তকতা ও সচেতনতার দ্বারা ধ্যানের গুণগত মান বাড়াতে।

ধ্যানকালীন অবস্থায় একটি চিন্তাশূন্য অবস্থা পেতে।

ধ্যান করার সময় ঘুমকে দূরে রাখতে এবং জাগ্রত ও সতর্ক থাকতে।

দিব্যশক্তির সঙ্গে সন্মিলিত থাকতে। যখন ঘুমের আগে যোগনিদ্রার অভ্যাস করা হয়, তখন তা আমাদের নিরবচ্ছিন্নভাবে দিব্যশক্তির সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে সাহায্য করে।

তুরীয় অবস্থা প্রাপ্ত করতে অর্থাৎ আত্মজাগরণের সর্বোচ্চ পর্যায় অর্জন করতে।

ঈশ্বরের সঙ্গে যোগ বা মিলন ঘটাতে, যা সাধনার পরম উদ্দেশ্য।