মহাবতার বাবাজী
মহাবতার বাবাজী শিবগণের মধ্যে সর্বোচ্চ মহাত্মা ও সবচেয়ে শক্তিশালী। তাঁকে দেবাদিদেব মহাদেবের সাথে তুলনা করা হয়, যে-কারণে আমাদের পৃথিবীতে এসে দিব্যজ্ঞান শিক্ষাদান ও প্রসারের জন্য তিনি বাবাজী রূপে জন্মগ্রহণ করেন। মহাবতার বাবাজী একজন চিরঞ্জীবী।
মহাবতার বাবাজী মহান এবং শক্তিশালী গুরু, যিনি ২০০০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রকৃত আন্তরিক সাধকদের পথপ্রদর্শন করে আসছেন।
বাবাজীর মাতা-পিতা কেরালার নাম্বুদ্রী অথবা নাম্বূদিরি(Namboodiris) পরিবারভুক্ত ছিলেন। তাঁর মাতা-পিতা তামিলনাড়ুর কুড্ডালরে(Cuddalore) স্থানান্তরিত হয়েছিলেন, সেইখানেই তিনি জন্মগ্রহণ করেন এবং প্রতিপালিত হন। তাঁর জন্মগত নাম ছিল নাগরাজ। পিতা-মাতার দেহান্তের পর তিনি একাকী হয়ে উত্তর ভারতে এক পর্যটকের জীবন ইচ্ছাকৃতভাবেই বেছে নেন। তিনি অনেক কঠিন কষ্ট সহ্য করেছিলেন। হিমালয়ে ভ্রমণকালে আধ্যাত্মিকতার প্রতি তাঁর আকর্ষণ জন্মায়। কিছু অঘোরী সন্ন্যাসী এবং অন্যান্য গুরুগণের পরামর্শে তিনি তাঁর জন্মস্থানে ফিরে আসার সিদ্ধান্ত নেন। পথে মহান সিদ্ধা ভোগানাথার এবং তাঁর কিছু শিষ্যদের চীন থেকে ফিরে আসতে দেখেছিলেন। যখন সিদ্ধা ভোগানাথার এই ১৪-১৫ বছর বয়সী কিশোরটিকে দেখেন, তখন তাঁকে তাঁর শিষ্য করে নিতে ইচ্ছা জানান। এইভাবেই বাবাজী শক্তিশালী সিদ্ধা ভোগানাথারের ছত্রছায়ায় এসে ও তাঁর পরিচালনায় খুব শীঘ্রই প্রধান শিষ্য হয়ে ওঠেন। শিক্ষার প্রথম চরণ শেষ হলে, সিদ্ধা ভোগানাথার তাঁকে অগস্ত্য মহাঋষির কাছে প্রেরণ করেন।
মহাবতার বাবাজী মহান এবং শক্তিশালী গুরু, যিনি ২০০০ বছরের বেশি সময় ধরে প্রকৃত আন্তরিক সাধকদের পথপ্রদর্শন করে আসছেন। বাবাজী অতি শক্তিশালী এক গুরু, ৬৪ সিদ্ধিই (অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা) যাঁর আয়ত্তে। কেউ কেউ বলেন বাবাজী নিজেই দেবাদিদেব মহাদেব। ছবিতে যেমনটি দেখানো হয় ঠিক তেমন ভাবেই যে তিনি উপস্থিত হন তা নয়। তাঁর আলোকদেহ বা সূক্ষ্মশরীর স্বর্ণালী রঙের অথবা কোন সময় অস্বচ্ছ নীল রঙেরও (Opaque Blue) হয়। মহাবতার বাবাজী অনেক গুরুগণকে পথপ্রদর্শন করেছেন। শ্রীতোতাপুরী যিনি শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের গুরু ছিলেন, তাঁকেও মহাবতার বাবাজীই পরিচালনা করেছিলেন। যিনি বাবাজীর ছত্রছায়ায় একবার আসবেন, তাঁর উপর বাবাজী জন্ম জন্ম ধরে লক্ষ রাখবেন ও পথপ্রদর্শন করে আসবেন, যতদিন না সেই সাধক দেব-সাক্ষাৎকার (Enlightened) লাভ করছেন।
তরুণ বাবাজী পশ্চিম ঘাটের দিকে আসেন এবং অগস্ত্য মহাঋষির কাছে কিছু কঠিন যৌগিক অনুশীলন ও ক্রিয়া শিক্ষা করেন। অগস্ত্য মহাঋষির এই কঠিন প্রগাঢ় শিক্ষা শুধুমাত্র সেই সব মানুষই নিতে পারেন, যাদের মধ্যে সুতীব্র ইচ্ছাশক্তি রয়েছে। অগস্ত্য মহাঋষি বাবাজীকে যে শিক্ষাদান করেছিলেন, বাবাজী সাফল্যের সঙ্গে তার উচ্চতম চূড়া স্পর্শ করতে পেরেছিলেন এবং অমরত্বও লাভ করেছিলেন (চিরঞ্জীবী)। বাবাজী ইচ্ছেমতো তাঁর পার্থিব দেহ খন্ডিত করতে(Disintegrate) ও একীভূত(Integrate) করতেও পারতেন। সেজন্য তিনি শুধুমাত্র যখনই প্রয়োজন হয়, তখনই পার্থিব শরীর ধারণ করেন। এমনকি এখনও তিনি তামিলনাড়ুর সথুরাগিরিতে (Sathuragiri) পরিদর্শন করতে আসেন এবং অগস্ত্য মহাঋষির কাছে যে স্থানে তিনি শিক্ষা নিয়েছিলেন, সেই স্থানে কিছুকাল যাপন করেন।
বাবাজী অতি শক্তিশালী এক গুরু, ৬৪ সিদ্ধিই (অতিপ্রাকৃত ক্ষমতা) যাঁর আয়ত্তে। কেউ কেউ বলেন বাবাজী নিজেই দেবাদিদেব মহাদেব। ছবিতে যেমনটি দেখানো হয় ঠিক তেমন ভাবেই যে তিনি উপস্থিত হন তা নয়। তাঁর আলোকদেহ বা সূক্ষ্মশরীর স্বর্ণালী রঙের অথবা কোন সময় অস্বচ্ছ নীল রঙেরও (Opaque Blue) হয়। মহাবতার বাবাজী অনেক গুরুগণকে পথপ্রদর্শন করেছেন। শ্রীতোতাপুরী যিনি শ্রীরামকৃষ্ণ পরমহংসদেবের গুরু ছিলেন, তাঁকেও মহাবতার বাবাজীই পরিচালনা করেছিলেন। যিনি বাবাজীর ছত্রছায়ায় একবার আসবেন, তাঁর উপর বাবাজী জন্ম জন্ম ধরে লক্ষ রাখবেন ও পথপ্রদর্শন করে আসবেন, যতদিন না সেই সাধক দেব-সাক্ষাৎকার (Enlightened) লাভ করছেন।
যদিও ক্রিয়াযোগের বিভিন্ন পদ্ধতি সম্পর্কে বাবাজী গভীর জ্ঞানসম্পন্ন তবুও তাঁর বিশেষত্বই হল, তিনি তাঁর প্রত্যেক শিষ্যকে একটি করেই ক্রিয়াযোগ পদ্ধতি শেখান।
মহাবাতার বাবাজীর একজন ভগিনী আছেন। যদিও তিনি বাবাজীর নিজের ভগিনী নন, কিন্তু বাবাজী তাঁকে নিজের ভগিনীর মতোই দেখেন। বাবাজীর ভগিনী নিজেও একজন খুব শক্তিশালী যোগিনী। বাবাজী যেখানেই যান, ভগিনীও তাঁকে সঙ্গ দেন। সেজন্য যখনই বাবাজী তাঁকে স্মরণ করেন, তাঁর ভগিনীও আলোক শরীরে (সূক্ষ্ম শরীরে) তাঁর ডাকে সাড়া দেন। এই মহান যোগিনী মেরু পর্বতে সাধুগণের কাছে আলোকবর্তিকা (Guiding Light)। তিনি তিব্বতের ওমকার পর্বতে অনেক সাধুসন্ত ও প্রকৃত সাধকগণকে নিরাময় (Heal) করে থাকেন।
আমাদের অনুসরণ করুন
সমস্ত কোটেশন দেখতে ...