মহর্ষি অমরা
মহর্ষি অমরা মহিমান্বিত বিনম্রতার প্রতিমূর্তি। তিনি ব্রহ্মলোক থেকে এসেছিলেন এবং তিনি মনস্তত্ত্বের (Mind) একজন প্রভাবশালী বিশেষজ্ঞ ।
১৯১৯ সালের পয়লা ফেব্রুয়ারি মহর্ষি অমরা এক রাজবংশে জন্মগ্রহণ করেন। খুব অল্প বয়সেই তিনি প্রত্যক্ষভাবে বিশ্বামিত্র মহর্ষির তত্ত্বাবধানে তিন বছর উচ্চতর আধ্যাত্মিক সাধনা করেছিলেন। মাত্র ১২ বছর বয়সেই তাঁকে ঋষি-কর্মী(Rishi Worker) হিসেবে অভিষিক্ত করা হয়। তখন থেকেই তিনি অবিশ্রান্তভাবে মহাঋষিগণের ছত্রছায়ায় কাজ করে চলেছেন। অমর (Amara) শব্দের অর্থ চিরন্তন ; তেমনই অমর তাঁর দেওয়া শিক্ষাও। মহর্ষি অমরা ছিলেন নিরভিমান এবং তিনি খুব সাধারণ জীবন যাপন করতেন।
মহর্ষি অমরা, পার্থিব জগৎ এবং সূক্ষ্ম জগৎ উভয়ক্ষেত্রেই অবিরাম কাজ করে চলেছেন। পার্থিব জীবনে তিনি দীক্ষা দিতেন, সাপ্তাহিক ক্লাস নিতেন এবং যারা ধ্যান করতেন তাদের ঘরে ও বিভিন্ন মন্দিরে দিব্য-শক্তি প্রথিতকরণ (Anchor) করতেন। তিনি ধ্যান করাকে এক প্রকৃত বিজ্ঞান(Pure science ) হিসেবেই শিখিয়েছিলেন, যেমন বৈদিক যুগে ঋষিগণ শিখিয়ে থাকতেন। তাঁর তত্ত্বাবধানে অনেক মানুষ মুক্তি লাভ করেছিলেন ।
তিনি যেকোনো ধরনের প্রচার পরিহার করতেন এবং নিজের ছাত্রদের প্রত্যেককে তিনি আলাদা আলাদা করে তত্ত্বাবধান করতেন। তিনি আধ্যাত্মিকতাকে খুব সাধারণ ভাষাতে পুনরায় সংজ্ঞায়িত করেছিলেন। তিনি একজন অবতার কিন্তু বিনয়ের সঙ্গে নিজেকে তিনি 'ঋষি-কর্মী' হিসেবেই পরিচয় দিতেন। তাঁর সুবিশাল ব্যক্তিত্ব থাকা সত্ত্বেও তিনি প্রথমে 'মানুষ' হওয়ার উপর জোর দিতেন এবং পরে দিব্য-জ্ঞান লাভ করাকে। বিজ্ঞানের জগতে তাঁর সমসাময়িক বিখ্যাত বিজ্ঞানীদের থেকেও অনেক বেশি জ্ঞান তাঁর ছিল। তাঁর বিশেষ ক্ষমতা ছিল, যা শুধুমাত্র তিনি ঋষিগণের কাজের জন্যই ব্যবহার করতেন।
মহর্ষি অমরা মহিমান্বিত বিনম্রতার প্রতিমূর্তি। তিনি ব্রহ্মলোক থেকে এসেছিলেন এবং তিনি মনস্তত্ত্বের (Mind) একজন প্রভাবশালী বিশেষজ্ঞ । সূক্ষ্ম জগতে, তিনি এই মহাবিশ্বের যেকোনো স্থান থেকেই কর্ম-প্রকল্প গ্রহণ করতেন। তিনি সূক্ষ্ম জগতে অসংখ্য ভ্রমণ করতেন এবং সূক্ষ্ম জগতে তাঁর এই কাজগুলি ছিল সুপ্রশস্ত ও প্রতিকূলতায় পরিপূর্ণ। তাঁর কাজের গভীরতা এবং আয়তন আমরা কল্পনাও করতে পারব না। তিনি সূক্ষ্ম জগতের যেকোনো মাত্রায়(Dimensions)অথবা যেকোনো লোকে(Lokas) অবাধে প্রবেশ ও ভ্রমণ করতেও পারতেন। তিনি একই সময়ে, একই সাথে মরণশীল মানুষের সঙ্গেও থেকেছেন, ঈশ্বরের সাথেও কথা বলেছেন এবং বিভিন্ন লোকেও বসবাস করেছেন। আরও বিশদভাবে বলতে গেলে, তাঁর জন্য যে কাজ বরাদ্দ করা হত, তা সে যত সামান্যই হোক না কেন, তিনি সেই কাজ সম্পূর্ণ সমর্পণের সঙ্গে করতেন এবং ঋষিগণের নির্দেশ শেষ অক্ষর পর্যন্ত অনুসরণ করতেন।
সূক্ষ্ম জগতে, তিনি এই মহাবিশ্বের যেকোনো স্থান থেকেই কর্ম-প্রকল্প গ্রহণ করতেন। তিনি সূক্ষ্ম জগতে অসংখ্য ভ্রমণ করতেন এবং সূক্ষ্ম জগতে তাঁর এই কাজগুলি ছিল সুপ্রশস্ত ও প্রতিকূলতায় পরিপূর্ণ। তাঁর কাজের গভীরতা এবং আয়তন আমরা কল্পনাও করতে পারব না। তিনি সূক্ষ্ম জগতের যেকোনো মাত্রায়(Dimensions)অথবা যেকোনো লোকে(Lokas) অবাধে প্রবেশ ও ভ্রমণ করতেও পারতেন। তিনি একই সময়ে, একই সাথে মরণশীল মানুষের সঙ্গেও থেকেছেন, ঈশ্বরের সাথেও কথা বলেছেন এবং বিভিন্ন লোকেও বসবাস করেছেন। আরও বিশদভাবে বলতে গেলে, তাঁর জন্য যে কাজ বরাদ্দ করা হত, তা সে যত সামান্যই হোক না কেন, তিনি সেই কাজ সম্পূর্ণ সমর্পণের সঙ্গে করতেন এবং ঋষিগণের নির্দেশ শেষ অক্ষর পর্যন্ত অনুসরণ করতেন।
মহর্ষি অমরা ১৯৮২ সালের ২৫শে আগস্ট তাঁর এই নশ্বর-দেহ পরিত্যাগ করেছিলেন, শুধুমাত্র এই মহাজগতের অন্য এক স্থান থেকে আসা এক জরুরি কর্তব্য পালনের জন্য। তাঁর এই নশ্বর-চক্ষু বন্ধ করার পূর্বে তিনি তাঁর গুরুর নাম 'বিশ্বামিত্র' উচ্চারণ করেছিলেন।
আমাদের অনুসরণ করুন
সমস্ত কোটেশন দেখতে ...