গুরুজী কৃষ্ণানন্দ
গুরুজী কৃষ্ণানন্দ প্রেম ও পবিত্রতার প্রতিমূর্তি। তাঁর মহান উক্তিসমূহ এবং উপস্থিতির মাধ্যমে যে কেউ তাঁর দিব্য সত্তা সম্পর্কে অনুধাবন করতে পারে। ভালোবেসে তাঁকে সবাই 'গুরুজী' নামেই সম্বোধন করতো এবং যারাই তাঁর সাহচর্যে এসেছিল, তাদের সকলের কাছে তিনি ছিলেন পিতা, মাতা, বন্ধু এবং একজন পথপ্রদর্শক। ১৯৩৯ সালে ১৮ই মে এক ধর্মপরায়ণ দম্পতির সন্তান হিসেবে গুরুজী জন্মগ্রহণ করেছিলেন এবং এর ফলস্বরূপ তিনি একজন ভালো, সৎ, দয়াশীল ও সহমর্মী মানুষ হিসেবে গড়ে উঠেছিলেন।
সুর-সঙ্গীত, শিল্প ও সাহিত্যের প্রতি গুরুজীর প্রবল এক অনুরাগ ছিল। সংবেদহীন অসাড় জগতের প্রতি তাঁর কোন আস্থা ছিল না। প্রেম ও আলোকে পরিপূর্ণ এক আদর্শ জগতের আকাঙ্ক্ষা তিনি অন্তরে প্রবলভাবে অনুভব করতেন। যদিও গুরুজী খুব সাধারণ এক গৃহস্থের জীবনই অতিবাহিত করতেন, তবুও তিনি ধারাবাহিকভাবেই আকুল আকাঙ্ক্ষা করতেন, যাতে অন্তত একজনও তাঁর এই সুন্দর পৃথিবী গড়ে তোলার অনুভূতিটিকে বুঝতে পারে।
সুদীর্ঘ ৩৮ বছরের জীবন অতিবাহিত করার পরেই তিনি তাঁর গুরু মহর্ষি অমরার সাথে মিলিত হন। তারপর থেকেই তাঁর জীবন সম্পূর্ণভাবে পরিবর্তিত হয়। মহর্ষি অমরাই গুরুজী কৃষ্ণানন্দকে মহাঋষি, দিব্য ব্যক্তিত্ব, উচ্চতর জগত এবং বিভিন্ন অশ্রুত বাস্তবতা সম্পর্কে পরিচয় করান। যখনই মহর্ষি অমরা কোনো আধ্যাত্মিক প্রকল্পে কাজের জন্য গুরুজী কৃষ্ণানন্দকে আহ্বান জানাতেন, তখনই গুরুজী এক নিঃস্বার্থ আনুগত্যে স্বতঃস্ফূর্তভাবে তাঁর আহবানে সাড়া দিতেন।
গুরুজী কৃষ্ণানন্দ প্রেম ও পবিত্রতার প্রতিমূর্তি। তাঁর মহান উক্তিসমূহ এবং উপস্থিতির মাধ্যমে যে কেউ তাঁর দিব্য সত্তা সম্পর্কে অনুধাবন করতে পারে। ভালোবেসে তাঁকে সবাই 'গুরুজী' নামেই সম্বোধন করতো এবং যারাই তাঁর সাহচর্যে এসেছিল, তাদের সকলের কাছে তিনি ছিলেন পিতা, মাতা, বন্ধু এবং একজন পথপ্রদর্শক। ২০১২ সালের ২৩ শে নভেম্বর গুরুজী তাঁর পার্থিব দেহ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। যারা আন্তরিক জিজ্ঞাসু তাদের সকলকেই গুরুজী এখনো সূক্ষ্ম জগত থেকেই পথপ্রদর্শন করে চলেছেন এবং গুরুজীর উত্তরাধিকার তাঁর শিক্ষা ও উৎসর্গীকৃত শিষ্যের মাধ্যমে এখনো বহমান রয়েছে।
গুরুজী তাঁর সরকারি চাকরি ছেড়ে দিয়ে ১৯৮১ সালে আধ্যাত্মিক প্রকল্পে নিজেকে যুক্ত করেন। যদিও ১৯৮২ সালে মহর্ষি অমরার দেহ-রাখার(Demise) পর তিনি আবার একাকী হয়ে পড়েন। জীবনের রূঢ় বাস্তবতার মধ্যে দাঁড়িয়ে, গুরুজী ১৯৮৮ সাল থেকে ধ্যান শিক্ষা দিতে শুরু করেন। এর সঙ্গেই, তিনি মহাঋষিগণের প্রকল্পও তিলে-তিলে গড়ে তোলেন।
গুরুজী তাঁর সূক্ষ্ম জগতের দিব্যকাজ সম্পর্কে কখনোই বিশেষ কিছু বলতেন না। তিনি তাঁর এই কাজের মহত্ত্ব, এক সাধারন উপস্থিতির আড়ালে প্রকৃত জ্ঞানীর মতোই লুকিয়ে রাখতেন। তাঁর নিজের সম্পর্কে বিশেষ কিছু বলার চেয়ে তিনি অমরা ও মহাঋষিগণের সম্পর্কেই বিশেষ ভাবে বলতেন। সূক্ষ্ম এবং পার্থিব জগতের কিছু দিব্য কর্ম-প্রকল্পের জন্য তাঁকে দিন-রাত ব্যস্ত থাকতে হতো। তিনি এই পৃথিবীতেই দ্বিতীয় শামবালা প্রতিষ্ঠিত করবার দূরদৃষ্টি রেখে চলতেন।
২০১২ সালের ২৩ শে নভেম্বর গুরুজী তাঁর পার্থিব দেহ ছেড়ে বেরিয়ে আসেন। যারা আন্তরিক জিজ্ঞাসু তাদের সকলকেই গুরুজী এখনো সূক্ষ্ম জগত থেকেই পথপ্রদর্শন করে চলেছেন এবং গুরুজীর উত্তরাধিকার তাঁর শিক্ষা ও উৎসর্গীকৃত শিষ্যের মাধ্যমে এখনো বহমান রয়েছে।
আমাদের অনুসরণ করুন
সমস্ত কোটেশন দেখতে ...