বেদাত্রি মহাঋষি
তামিলনাড়ু রাজ্যে, চেন্নাই শহরের একপ্রান্তে গুডুভানচেরি (Guduvancheri) নামক গ্রামে একজন দরিদ্র বয়ন শিল্পীর ঘরে ১৯১১ সালের ১৪ই আগস্ট শ্রীবেদাত্রি মহাঋষি জন্মগ্রহণ করেছিলেন।
অল্প বয়স থেকেই ঈশ্বরকে জানার, দারিদ্র্যের কারণ জানার ও অন্যান্য অনেক কিছু জানার এক গভীর আকাঙ্ক্ষা তাঁর মধ্যে দেখা দেয়। আধ্যাত্মিক জ্ঞান আহরণের ইচ্ছা তাঁকে অনেক গুরুর সান্নিধ্যে নিয়ে আসে। অল্প বয়স থেকেই তিনি ধ্যান সাধনা শুরু করেছিলেন এবং ফলস্বরূপ ৩৫ বছর বয়সে আত্ম-সাক্ষাৎকার (Self Realisation) লাভ করেন।
সিদ্ধাগণের কাছ থেকে প্রাপ্ত আধ্যাত্মিকতার জ্ঞান অত্যন্ত বিজ্ঞানসম্মত উপায়ে এমনভাবে সাধারণ মানুষের মধ্যে তিনি ছড়িয়ে দিতে শুরু করেন, যাতে ঈশ্বরে একান্ত অবিশ্বাসীরও মনে ধর্ম এবং আধ্যাত্মিকতার মূল ভাবনাটি খুব যুক্তিপূর্ণভাবে গেঁথে যায়। তাঁকে অনেকে আধুনিকযুগের সিদ্ধা বা ১৯-তম সিদ্ধা বলতেন।
মহাঋষি গভীরভাবে বিশ্বাস করতেন যে ধ্যান এবং আত্মদর্শন (Introspection) হল দুটি প্রধানতম উপায়, যা ব্যক্তির মধ্যে আধ্যাত্মিক পরিবর্তন এবং শান্তি বয়ে নিয়ে আসতে পারে। "ব্যক্তির শান্তি লাভের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তির প্রতিষ্ঠা"- তাঁর জীবনের কেন্দ্রীয় লক্ষ্য ছিল। মহাঋষি আধ্যাত্মিকতার ধারণাকে সকলের জন্য বিশেষত গৃহস্থ মানুষের উপযোগী করে সৃজন করেছিলেন। এই কারণে তাঁকে 'সাধারণ মানুষের দার্শনিক' (Common man's philosopher) বলা হতো।
প্রসিদ্ধ সিদ্ধা নন্দীদেবরই (Siddha Nandidevar) বেদাত্রি মহাঋষি রূপে জন্ম নিয়েছিলেন। মহাঋষি গভীরভাবে বিশ্বাস করতেন যে ধ্যান এবং আত্মদর্শন (Introspection) হল দুটি প্রধানতম উপায়, যা ব্যক্তির মধ্যে আধ্যাত্মিক পরিবর্তন এবং শান্তি বয়ে নিয়ে আসতে পারে। "ব্যক্তির শান্তি লাভের মাধ্যমে বিশ্ব শান্তির প্রতিষ্ঠা"- তাঁর জীবনের কেন্দ্রীয় লক্ষ্য ছিল। মহাঋষি আধ্যাত্মিকতার ধারণাকে সকলের জন্য বিশেষত গৃহস্থ মানুষের উপযোগী করে সৃজন করেছিলেন। এই কারণে তাঁকে 'সাধারণ মানুষের দার্শনিক' (Common man's philosopher) বলা হতো।
বিভিন্ন বিষয়ের উপর তিনি বই লিখেছিলেন, যার মধ্যে রয়েছে- আধ্যাত্মিকতা, মন, জৈব চুম্বকত্ব (Bio magnetism), সাধারণ দৈহিক ব্যায়াম, বিশ্ব শান্তি ইত্যাদি বিষয়। তিনি একজন কবি ছিলেন এবং সেই সঙ্গে সিদ্ধা ও হোমিওপ্যাথি চিকিৎসা করতেন।
লক্ষ করার বিষয় হল, রামালিঙ্গা আদিগ্লার (Ramalinga Adigalar) বা ভাল্লালার (Vallalar), যিনি আরো একজন মহাত্মা তপস্বী, তিনি বেদাত্রি মহাঋষিকে দর্শন দিয়েছিলেন এবং সূক্ষ্মদেহে মহাঋষির শরীরে ১২ বছরের জন্য প্রবিষ্ট হয়ে অবস্থান করেছিলেন, সেই সময় বেদাত্রি মহাঋষি এমন অসংখ্য কবিতা রচনা করেন, যা আজও মানুষের কাছে দুর্বোধ্য। লোকবিশ্বাস অনুসারে, এই কবিতাগুলি বেদাত্রি মহাঋষির প্রতি যেন ভাল্লালারের উপহার এবং এর ফলে বেদাত্রি মহাঋষির জীবনকালও দীর্ঘায়িত হয়েছে।
২০০৬ সালের ২৮শে মার্চ বেদাত্রি মহাঋষি চিরসমাধি লাভ করেন, রেখে যান আধ্যাত্মিক জ্ঞান ও শিক্ষার এক বিপুল সম্ভার, যা মহাঋষির তিরোধানের পরেও তাঁর অনুসারীরা অধ্যয়ন, অনুধ্যান ও অনুসরণ করতে পারেন।
প্রসিদ্ধ সিদ্ধা নন্দীদেবরই (Siddha Nandidevar) বেদাত্রি মহাঋষি রূপে জন্ম নিয়েছিলেন।
আমাদের অনুসরণ করুন
সমস্ত কোটেশন দেখতে ...