মহাসিদ্ধা ভোগানাথার | ব্রহ্মঋষি হারমিটেজ

মহাসিদ্ধা ভোগানাথার


Brahmarishis Hermitage Devatmananda Shamballa Rishis Siddhas Siddhar Sprituality Kalki Saptharishis Saptarishis
                    Divine Soul Guru Wisdom Positive Quotes

৫৫০ এবং ৩০০ খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে কোন এক সময়ে মহাসিদ্ধা ভোগার অথবা ভোগানাথার নামে একজন মহান সিদ্ধা ছিলেন। মহান সিদ্ধা কালাঙ্গীনাথারের তত্ত্বাবধানে ভোগানাথার একজন সিদ্ধ পুরুষ হয়ে ওঠেন।

ভোগানাথার সিদ্ধা-ঔষধিতে একজন বিশেষজ্ঞ ছিলেন এবং অগস্ত্য মহাঋষি সহ অন্যান্য মহান সিদ্ধাগণের পরামর্শে বিভিন্ন ধরনের হাজার হাজার বিরল প্রজাতির ঔষধি গাছগাছড়া ব্যবহার করে নয়টি রসায়ন অথবা 'নব-ভাসনম' (Nava Pashanam) তৈরি করেন, 'নব'অর্থে নয় এবং 'ভাসনম' অর্থে বিষাক্ত। এই 'নব-ভাসনম'এর মধ্যে ভোগানাথার 'প্রধান ঔষধি যৌগিক মিশ্রণ'( Master Medicinal compound ) তৈরিতে অগ্রসর হয়েছিলেন, যা প্রভু মুরুগার মূর্তি তৈরীর মাধ্যমে যেকোনো ধরনের রোগ নিরাময় করতে পারে, প্রভু মুরুগা পারানি বা পালানির (যা তামিলনাড়ুতে অবস্থিত) প্রধান দেবতা। বিশ্বাস করা হয় যে, প্রভু মুরুগার মূর্তির এক বিশেষ অলৌকিক নিরাময়কারী শক্তি আছে, যার জন্য প্রভু মুরুগার মূর্তিতে যে জিনিসই স্পর্শ করানো হয় তার মধ্যেই সেই নিরাময়কারী শক্তি আকর্ষিত হয়।

পালানি দেবের (Pazhani Deity) অভিষেক বা ঐতিহ্যগত স্নান সম্পাদন করা হয় দুধ, পঞ্চামৃত সহযোগে। পঞ্চামৃত হল, মিষ্টি জ্যামের মতো একটি মিশ্রণ যা তাজা অথবা শুকনো ফল থেকে প্রস্তুত হয় এবং এর সঙ্গে মধু,গুড়, ঘি এবং অন্যান্য প্রাকৃতিক উপাদান যুক্ত থাকে। এগুলি দেবতার নিরাময়কারী শক্তিগুলিকে অর্জন করে নিয়ে প্রসাদে পরিণত হয়। লক্ষ লক্ষ ভক্তদের কাছে এই মূর্তি ক্রমশ পূজনীয় হয়ে ওঠে এবং তা ভোগানাথার সিদ্ধার রসায়নবিদ্যার (Alchemical) পরাক্রমের প্রতি শ্রদ্ধাঞ্জলি বহন করে।

লাও জু (Lao Tzu) যিনি প্রাচ্যে এক বিশেষ প্রকার ধ্যান সাধনা প্রচার করেছিলেন, যা 'জেন'(Zen) নামে পরিচিত। এই লাও জু(Lao Tzu) প্রকৃতপক্ষে ছিলেন মহাসিদ্ধা ভোগানাথার। পারানি বা পালানি মন্দিরের ভিতরে ভোগানাথার সিদ্ধার সমাধি অবস্থিত। এমনকি এখনো বিশ্বাস করা হয় যে, মহাসিদ্ধা ভোগানাথার প্রভু মুরুগাকে(Lord Muruga) পূজা অর্পণ করেন এবং পূজা শেষ হলে তিনি তাঁর সমাধিতে ফিরে যান। চিহ্নস্বরূপ কিছু ফুল ও পবিত্র ভস্ম মন্দিরের গর্ভগৃহে দেখা যায়।

মহান সিদ্ধা ভোগানাথার তাঁর পুস্তক 'সপ্তকাণ্ড'তে তাঁর অন্যতম শিষ্য পুলিপানিকে অতিবিশেষ গোপনীয় অনেক ভেষজ সৃজনমূলক সূত্র প্রদান করেছেন ।

লাও জু (Lao Tzu) যিনি প্রাচ্যে এক বিশেষ প্রকার ধ্যান সাধনা প্রচার করেছিলেন, যা 'জেন'(Zen) নামে পরিচিত। এই লাও জু(Lao Tzu) প্রকৃতপক্ষে ছিলেন মহাসিদ্ধা ভোগানাথার।

পারানি বা পালানি মন্দিরের ভিতরে ভোগানাথার সিদ্ধার সমাধি অবস্থিত। এমনকি এখনো বিশ্বাস করা হয় যে, মহাসিদ্ধা ভোগানাথার প্রভু মুরুগাকে(Lord Muruga) পূজা অর্পণ করেন এবং পূজা শেষ হলে তিনি তাঁর সমাধিতে ফিরে যান। চিহ্নস্বরূপ কিছু ফুল ও পবিত্র ভস্ম মন্দিরের গর্ভগৃহে দেখা যায়।

ভোগানাথার মহর্ষির প্রসিদ্ধ শিষ্যগণের মধ্যে মহাবতার বাবাজী, পুলিপানি(ব্যক্রপদ মহাঋষি- Vyakrapada Maharishi) এবং কনকর্না সিদ্ধা (Konkarna Siddha) অন্যতম।